নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, কোনো কোনো উপজেলায় টাকার পরিবর্তে উৎপাদিত ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপ অপারেটর ও মালিকদের বিরুদ্ধে।
কৃষকদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারির অভাব, বিধি মোতাবেক রিচার্জ কার্ডের মাধ্যমে পানি না দেয়া এবং দায়সারা আচরণে হয়রানি করা হচ্ছে তাদের। প্রতি বছর গ্রীষ্মে ভূগর্ভের পানির সংকট থাকায়, সে সুযোগে দিনের পর দিন হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি কৃষকদের।
দেশের উত্তরের জেলা খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত নওগাঁ। ধান উৎপাদনের মৌসুমে সেচ দিয়ে ইরি-বোরো ধান চাষ করতে হয় এখানে। জেলার অধিকাংশ উপজেলায় রয়েছে সরকারের বেধে দেয়া সেচ নির্ধারনী বিধান। সে অনুযায়ী জমির প্রকারভেদে প্রতি বিঘা জমিতে পানি সেচের দাম নির্ধারন করা হয়েছে ১২শ থেকে ১৫শ টাকা।
অথচ টাকার পরিবর্তে বিঘাপ্রতি চার থেকে পাঁচ মণ করে ধান, সেই সাথে অপারেটরদের দিতে হয় খড়ও। সবমিলে যার বাজারমূল্য চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। কৃষকদের সম্মতিতেই ধানের বিনিময়ে পানি সেচ দেয়ার কথা জানালেন অপারেটর ও নলকূপের শেয়ারদাররা।
সরকারী নিয়মে সেচের পানি পেলে কৃষকরা লাভবান হবেন, বলছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এদিকে, নির্ধারিত রেটের চেয়ে বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। জেলার ১১টি উপজেলায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপ রয়েছে ১৫ হাজার ৪০০টি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন নলকূপ রয়েছে ৮৭৬টি।
https://www.youtube.com/watch?v=LGUbNBorQr4